বাক্যাংশ বই
ভাষা হিসেবে চিহ্নের ব্যবহার
© stokkete - Fotolia | Glamour woman packing
ভাষা হিসেবে চিহ্নের ব্যবহার
যোগাযোগের মাধ্যমের জন্য মানুষ ভাষা সৃষ্টি করেছিল।
এমনকি যারা বধির তাদেরও নিজস্ব ভাষা রয়েছে।
এটা প্রতিকী ভাষা যা কিনা সকল বধিরদের মূল ভাষা।
প্রতিকী ভাষা তৈরী হয় বিভিন্ন চিহ্নের সংযুক্ত ব্যবহারে।
চিহ্নই প্রতিকী ভাষাকে দৃশ্যমান করে।
কিন্তু প্রতিকী ভাষা কি আন্তর্জাতিকভাবে বোধগম্য?
না, আপনি জেনে অবাক হবেন যে, প্রতিকী ভাষারও বিভিন্ন জাতীয় ভাষা আছে।
প্রত্যেক জাতির নিজস্ব প্রতিকী ভাষা রয়েছে।
একটি জাতির প্রতিকী ভাষা তাদের সংস্কৃতির প্রতিফলন।
কেননা, ভাষা সবসময় সংস্কৃতি থেকে উদ্ভূত হয়।
ঠিক তেমনি প্রতিকী ভাষায়ও সংস্কৃতির ছাপ থাকে।
তারপরও একটি আন্তর্জাতিক প্রতিকী ভাষা রয়েছে।
তবে এটার চিহ্নগুলো খুবই জটিল।
যাইহোক, জাতীয় প্রতিকী ভাষাগুলো সমজাতীয় হয়।
অনেক চিহ্ন চিত্রবিশিষ্ট।
যে বস্তু বোঝানোর দরকার হয় সেটির চিত্ররূপ দেখানো হয়।
সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত প্রতিকী ভাষা হল আমেরিকান প্রতিকী ভাষা।
প্রতিকী ভাষাকে গণ্য করা হয় সবচেয়ে সুসংগঠিত ভাষা হিসেবে।
এই ভাষার নিজস্ব ব্যকরণ রয়েছে।
কিন্তু কথ্য ভাষার ব্যকরণ থেকে প্রতিকী ভাষার ব্যকরণ ভিন্ন।
তাই, প্রতিকী ভাষা প্রত্যেক শব্দে অনুবাদ করা যায়না।
তারপরও প্রতিকী ভাষার অনেক অনুবাদক পাওয়া যায়।
প্রতিকী ভাষায় বিভিন্ন তথ্য একযোগে ব্যাখা করা হয়।
তাই সম্পূর্ণ একটি বাক্য বোঝাতে একটি মাত্র ইশারায় যথেষ্ট।
প্রতিকী ভাষার উপভাষাও আছে।
আঞ্চলিক প্রতিকী ভাষার নিজস্ব অঙ্গভঙ্গি রয়েছে।
প্রত্যেকটি প্রতিকী শব্দের আলাদা প্রকাশভঙ্গি থাকে।
প্রতিকী ভাষার ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য যে, আমাদের উচ্চারণভঙ্গি আমাদের বুৎপত্তি নির্দেশ করে।