মিডিয়া দ্বারাও আমাদের ভাষা প্রভাবিত হয়।
নতুন মিডিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এক্ষেত্রে।
একটি ভাষার উত্থান হতে পারে খুদে বার্তা, ই-মেইল ও চ্যাটিং থেকে।
এই ধরনের মিডিয়া ভাষা প্রত্যেক দেশেই ভিন্ন।
সব মিডিয়া ভাষার কিছু না কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
দ্রুততা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
লেখার সময়ও আমরা চেষ্টা করি দ্রুত যেগাযোগের।
অর্থ্যাৎ, আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব তথ্য আদান-প্রদান করতে।
তাই আমরা একটি সত্যিকারের কথোপকথনের ভান করি।
এভাবেই আমাদের ভাষা মৌখিক রূপ ধারণ করে।
শব্দ ও বাক্যকে ছোট করে ফেলা হয়।
ব্যকরণ ও বিরাম চিহ্নের ব্যবহার মেনে চলা হয় না।
বানান পরিবর্তন হয়ে যায় এবং অব্যয় পদ প্রায় ব্যবহারই হয়না।
আবেগের বহিঃপ্রকাশ মিডিয়া ভাষায় কম হয়।
তথাকথিত আবেগ আমরা এখানে প্রকাশ করি।
আবেগ-অনুভূতি প্রকাশের জন্য অনেক চিহ্ন রয়েছে।
খুদে বার্তা পাঠানোর কিছু নিয়ম রয়েছে এবং কিছু অপভাষাও ব্যবহার করা হয়।
তাই বলা যায় মিডিয়া ভাষা হল খুবই সংক্ষিপ্ত ভাষা।
সবার মিডিয়া ভাষা মোটামুটি একই রকম।
শিক্ষা বা জ্ঞানের ক্ষেত্রেও মিডিয়া ভাষা একই রকম হয়।
বিশেষ করে যুব সম্প্রদায় মিডিয়া ভাষায় আসক্ত।
এইজন্যই সমালোচকরা মনে করেন আমাদের ভাষা ঝুঁকির সম্মুখীন।
বিজ্ঞান বিষয়টি নিয়ে অতটা হতাশ নয়।
কেননা আজকের যুব সমাজ জানে কখন, কিভাবে লেখা উচিত।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন মিডিয়া ভাষার কিছু উপকারীতাও রয়েছে।
কারণ মিডিয়া ভাষার মাধ্যমে বাচ্চাদের ভাষার দক্ষতা ও সৃজনশীলতা বাড়ে।
সবচেয়ে বড় কথা- মিডিয়া ভাষায় ই-মেইল লেখা হয়, চিঠি নয়।
এটাই আনন্দের বিষয়।