জার্মান-ভাষাগোষ্ঠী ইন্দো-ইউরোপীয় পরিবারের অর্ন্তভূক্ত।
এই ভাষাগোষ্ঠীর ধ্বনিগত বৈশিষ্ট্য অনন্য।
ধ্বনিগত বৈশিষ্ট্যের পার্থক্যের জন্য এই ভাষাগোষ্ঠী অন্যদের থেকে ভিন্ন।
জার্মান-ভাষাগোষ্ঠীতে প্রায় ১৫ টি ভাষা রয়েছে।
প্রায় ৫ কোটি মানুষ মাতৃভাষা হিসেবে বিশ্বব্যাপী এই ভাষায় কথা বলে।
স্বতন্ত্র ভাষাসমূহ কতগুলো তা নির্ধারণ করা কঠিন।
এটাও অস্পষ্ট যে এখানে কতগুলো স্বাধীন ভাষা বা উপভাষা রয়েছে।
জার্মান-ভাষাগোষ্ঠীর সবচেয়ে বিখ্যাত ভাষা হল ইংরেজী।
সারা পৃথিবীতে ৩০ কোটি ৫০ লাখ মানুষের মাতৃভাষা ইংরেজী।
এরপর জার্মান ও ডাচ্ ভাষার স্থান।
জার্মান-ভাষাগোষ্ঠীর অনেকগুলো ভাগ রয়েছে।
যেমন, উত্তর জার্মান-ভাষাগোষ্ঠী, পশ্চিম জার্মান-ভাষাগোষ্ঠী ও পূর্ব জার্মান-ভাষাগোষ্ঠী।
স্ক্যান্ডিনেভিয়ান ভাষাগুলো হল উত্তর জার্মান-ভাষাগোষ্ঠীর অর্ন্তভূক্ত।
ইংরেজী, জার্মান ও ডাচ্ পশ্চিম জার্মান-ভাষাগোষ্ঠীর অধীন।
পূর্ব জার্মান-ভাষাগোষ্ঠীর অর্ন্তগত সকল ভাষা বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
প্রাচীন ইংরেজী ভাষা এই গোষ্ঠীর অর্ন্তগত ছিল।
ঔপনিবেশিকবাদ সারা পৃথিবীতে জার্মান-ভাষাগোষ্ঠীকে ছড়িয়ে দিয়েছে।
এই জন্যই ক্যারিবীয় ও দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাচ্ ভাষার প্রচলণ রয়েছে।
সমস্ত জার্মান-ভাষাগোষ্ঠীর অর্ন্তগত ভাষার মূল একই।
পাওয়া যাক বা না যাক , সেখানে একটি অভিন্ন অবিভাবক-ভাষা ছিল এটা নিশ্চিৎ।
এছাড়া সেখানে অল্প কিছু জার্মান-ভাষাগোষ্ঠীর অর্ন্তগত শব্দ টিকেআছে।
রোমান-ভাষা গোষ্ঠীর মত এই ভাষা-গোষ্ঠীর কোন উৎস নেই বলা যায়।
তাই এই ভাষা-গোষ্ঠী নিয়ে গবেষণা করা অত্যন্ত কঠিন কাজ।।
জার্মান-ভাষাগোষ্ঠীর ভাষাভাষী টিউটনদের সম্পর্কেও অনেক কম জানা গেছে।
টিউটনরা একসাথে বসবাস করতো না।
এই জন্যই তাদের কোন নিজস্ব স্বকীয়তা ছিলনা।
তাই গবেষকদের অন্যান্য উৎসের উপর নির্ভর করতে হয়েছে।
গ্রীক ও রোমান ছাড়া আমরা অন্য টিউটনদের সম্পর্কে তেমন কিছু জানিনা।