যাদের প্রায় কাজে বাইরে যেতে হয় তারা শরীরে বিভিন্ন অক্ষর আাঁকেন।
মানুষের মস্তিষ্কেও এরকম কাজ আপাতদৃষ্টিতে সম্ভব।
অর্থ্যাৎ, একটি ভাষা শিখতে হলে মেধার চেয়ে অন্য জিনিস বেশী দরকার।
নিয়মিত অনুশীলন সবচেয়ে জরুরী।
কেননা অনুশীলনই ইতিবাচকভাবে মস্তিষ্কের গঠনে প্রভাব ফেলে।
নিশ্চিৎভাবে, ভাষা শিক্ষার জন্য বিশেষ প্রতিভা থাকা বংশগত।
তা সত্ত্বেও, নিবিড় অনুশীলন মস্তিষ্কের কিছু গঠন পাল্টাতে পারে।
মস্তিষ্কের বাক্শক্তি কেন্দ্রের পরিমান বেড়ে যাই।
অনুশীলনকারীর ¯œায়ুকোষ বদলে যাই।
একটি বদ্ধমূল বিশ্বাস ছিল যে, মস্তিষ্ক অপরিবর্তনযোগ্য।
বিশ্বাসটি ছিল এমনঃ যা আমরা শিশু অবস্থায় শিখিনি তা কখনও শেখা সম্ভব নয়।
মস্তিষ্ক বিশেষজ্ঞরা সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা বলেছেন।
তারা প্রমাণ করতে সমর্থ হয়েছেন যে, আমাদের মস্তিষ্ক সবসময় চঞ্চল থাকে।
এটার কাজ অনেকটা মাংশপেশীর মত।
এই কর্মচাঞ্চল্য বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত চলতে থাকে।
মস্তিষ্কের ভিতরে ঢোকা প্রত্যেকটি বিষয় প্রক্রিয়াকরণ করা হয়।
নিয়মিত অনুশীলনে প্রক্রিয়াকরণের কাজ আরও ভাল হয়।
এমনকি দ্রুত ও আরও কার্যকর হয়।
এই নীতি যুবক ও বৃদ্ধ সবার ক্ষেত্রে সমানভাবে সত্য।
তবে এটা অপরিহার্য নয় যে, একজন মানুষ মস্তিষ্কের অনুশীলনের জন্য শিখবে।
পড়াও খুব ভাল অনুশীলন।
সাহিত্যপাঠ বিশেষভাবে আমাদের মস্তিষ্কের বাক্শক্তি কেন্দ্রের উন্নয়ন ঘটায়।
অর্থ্যাৎ, আমাদের শব্দভান্ডার বৃদ্ধি পায়।
মোটের উপর, ভাষার প্রতি আমাদের অনুরাগ বাড়ে।
মজার ব্যাপার হল, বাক্শক্তি কেন্দ্র শুধুমাত্র ভাষা প্রক্রিয়াকরণই করেনা।
গতিক্ষমতা অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করে নতুন বিষয়ও প্রক্রিয়া করে।
তাই সম্পূর্ণ মস্তিষ্ককে যখন সম্ভব তখন উদ্দীপিত করা খুবই জরুরী।
সুতরাং, দেহের ও মনের ব্যায়াম করুন।