অনেক ইউরোপের মানুষ তাদের ইংরেজী ভাষা উন্নতি করার জন্য মাল্টায় যায়।
কারণ ইউরোপের ছোট দেশগুলোর দাপ্তরিক ভাষা ইংরেজী।
মাল্টা তার অসংখ্য ভাষা শেখানোর স্কুলের জন্য বিখ্যাত।
কিন্তু ভাষাবিদদের কাছে মাল্টার আগ্রহের কারণ এটা নয়।
মাল্টায় তাদের আগ্রহের কারণ ভিন্ন।
প্রজাতন্ত্র মাল্টার আরেকটি দাপ্তরিক ভাষা রয়েছে।
একটি আরবী উপভাষা থেকে এই ভাষার উৎপত্তি।
মাল্টি ইউরোপের একমাত্র সেমিটিক ভাষা।
এটার শব্দবিন্যাশ ও ধ্বনিতত্ত্ব আরবী থেকে ভিন্ন।
মাল্টি ভাষা লেখা হয় ল্যাটিন অক্ষরে।
বর্ণমালায় কিছু বিশেষ অক্ষর রয়েছে।
সেখানে সি ও ওয়াই বর্ণদুটি নেই।
শব্দভান্ডারে বিভিন্ন ভাষার শব্দের সংমিশ্রণ রয়েছে।
আরবী শব্দের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ শব্দ সমূহ এসেছে ইতালীয় ও ইংরেজী থেকে।
তবে, ফিনিশীয় ও কার্থেজীয় শব্দেরও প্রাচুর্যতা আছে।
কিছু ভাষাবিদরা মনে করেন যে, মাল্টি একটি আরবীয় ক্রিওল ভাষা।
ইতিহাস বলে যে, মাল্টা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন শক্তির অধীন ছিল।
তারা সবাই তাদের চিহ্ন মাল্টা, গোজো ও কোমিনো দ্বীপে রেখে গেছে।
অনেক সময় ধরে মাল্টার নিজস্ব ভাষা ছিল।
কিন্তু এখন তা শুধুমাত্র প্রকৃত মাল্টিদের ভাষা হিসেবে টিকে আছে।
প্রথম দিকে এটি শুধুমাত্র মুখের ভাষা ছিল।
১৯ শতকের আগে মানুষ এই ভাষায় লেখা শুরু করেনি।
বর্তমানে প্রায় ৩,৩০,০০০ মানুষ এই ভাষায় কথা বলে।
২০০৪ সাল থেকে মাল্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য।
এই জন্য মাল্টি অন্যতম ইউরোপীয় ভাষা।
তবে মাল্টিদের কাছে এই ভাষা তাদের সংস্কৃতির অংশ।
তাই তারা খুশি হয় যখন কোন বিদেশী মাল্টি শিখতে চায়।
অবশ্যই তাই মাল্টাতে অসংখ্য ভাষা শিক্ষা ও স্কুল রয়েছে।