বাক্যাংশ বই
ভাষাগতভাবে নারীরা পুরষদের চেয়ে বেশী প্রতিভাধর !
© famveldman - Fotolia | Little cute girl reading a book
ভাষাগতভাবে নারীরা পুরষদের চেয়ে বেশী প্রতিভাধর !
নারীরা পুরুষদের মতই মেধাবী।
নারী- পুরুষের বুদ্ধিমত্তার ধরণ একই।
কিন্তু লিঙ্গ বিষয়ক দক্ষতা তাদেরকে পুরুষদের থেকে পৃথক করে।
যেমন, পুরুষেরা নারীদের চেয়ে তিনগুন দ্রত কোন কাজ করতে হবে।
তারা গাণিতিক সমস্যা ভালভাবে সমাধান করে।
অন্যদিকে নারীদের স্মৃতিশক্তি পুরুষদের থেকে ভাল।
এবং তারা ভাষাও দ্রুত শেখে।
বানান ও ব্যকরণে নারীদের ভুল কম হয়।
তাদের শব্দভান্ডার ও বেশী এবং উচ্চারণ ভাল।
তাই ভাষা শেখার পরীক্ষায় তারা সবসময় ভাল করে।
নারীদের এই ভাষাগত তীক্ষèতা তাদের মস্তিষ্কের গঠনের জন্য।
নারী ও পুরুষের মস্তিষ্কের গঠন ভিন্ন।
মস্তিষ্কের বাম অর্ধেক ভাষার জন্য নির্ধারিত।
এই অংশ ভাষাগত নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া করে।
এ সত্ত্বেও নারীরা মস্তিষ্কের পুরোটা ব্যবহার করে যখন ভাষা প্রক্রিয়াকরণ হয়।
তারউপর, তাদের মস্তিষ্কের দুই অংশ তথ্য বিনিময় করতে পারে।
তাই বলা যায়, নারীদের মস্তিষ্ক ভাষা প্রক্রিয়া ভালভাবে করতে পারে।
এজন্য নারীরা ভাষা ভালভাবে শিখতে পারে।
মস্তিষ্কের ভিন্নতার কারণ এখনো অজানা।
কিছু বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে এটা জীবতত্ত্বগত কারণ।
নারী ও পুরুষের জিন মস্তিষ্কের উন্নয়নের জন্য দায়ী।
হরমোনঘটিত কারণও আছে।
অনেকে মনে করেন যে, আমাদের প্রতিপালন পদ্ধতি আমাদের উন্নয়নে প্রভাব ফেলে।
কারণ মেয়ে বাচ্চাদের অনেক কথা বলানো এবং পড়ানো হয়।
অন্যদিকে, ছেলে বাচ্চাদের প্রযুক্তিগত খেলনা দেয়া হয়।
তাই বলা যায় যে, আমাদের সমাজ আমাদের মস্তিষ্ক গঠন করে দেয়।
তারপরও, সারা পৃথিবীতে নির্দিষ্ট কিছু ভিন্নতা আছে।
প্রত্যেক সংস্কৃতিতে শিশুদের ভিন্নভাবে প্রতিপালন করা হয়।